রেজার
ভাইপার মিনি মাউস
বৈশিষ্ট্যগুলো:
ডিজাইন
প্রথমেই বলে
নিই এর কিছু পজিটিভ দিক। এটি সহজে
ব্যবহারযোগ্য, কমপ্যাক্ট এবং সুন্দর গেমিং
মাউস। এটি ছোট আকারের
মাউসগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়,
যা বেশ কিছু গেমারের
জন্য এনট্রি লেভেলের হতে পারে। মাউসটি
চমৎকার ডিজাইন সম্পন্ন, ব্যবহার করা জন্য সুবিধাজনক
এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার
করা যায়। প্রোগ্রামেবল মাউসটি দিয়ে ম্যাক্রো
সেটিং করে অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়।
স্পীড
আমি
প্রথম বার রেজার ভাইপার
মিনি মাউসটি ব্যবহার করে এর অসাধারণ
স্পীড এবং উন্নত সেন্সর এর কারণে গেমিং এ খুবই
সুবিধা পেয়েছি। মাউসটির সুবিধাজনক আকার ও স্টাইল
আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
এটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং এর সাইজ হাতের
সাথে খুব ভালো ভাবে মানিয়ে যাওয়ায় যারা
কম্পক্ট মাউস পছন্দ করে তাদের জন্য
একটি ভালো বিকল্প হতে
পারে।
ওজন
রেজার
ভাইপার মিনি মাউসের একটি
অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর লাইটওয়েট
ডিজাইন। এটি খুবই হালকা
হওয়ার কারণে গেমারদের জন্য খুব সুবিধাজনক।
এর সম্পূর্ণ ওজন ৬৬ গ্রাম
এবং এটি ব্যবহারকারীদের হাতে
খুবই সুবিধাজনক হয়। এটি বাড়ি, অফিস বা গেমিং
রুমে ব্যবহার করা যায় এবং
ইউজারদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
এটি হাই-এন্ড গেমিং
মাউস নয়, কিন্তু এটি
সম্পূর্ণ ফিচার প্যাক্ড মাউস যা বেশ
কিছু গেমারের জন্য উপযোগী হতে
পারে।
ক্লিক বাটন
এই মাউসটির একটি বৈশিষ্ট্য হল
এর ৬ প্রোগ্রামেবল বাটন,
যা ব্যবহারকারীদের পছন্দ মত কনফিগার করা
যায়। এটি গেমিং জগতে
অনেকটা অভিনব হওয়ার কারণে এটি বিভিন্ন ধরনের
গেমার্সদের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী।
আমি এই মাউসটি ব্যবহার
করে এপেক্স লেজন্ড এবং কাউন্টার স্ট্রাইক
এর মতো এফপিএস গেমগুলিতে
খুব সহজে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছি।
স্ক্রোল বাটন
মাউসটির
স্ক্রোল রেজ খুব স্মুদ
এবং স্পীডি, যা এর আর একটি ভালো দিক। এটি বেশ
দ্রুত এবং প্রিসিশন সরবরাহ
করে এবং এর স্ক্রোল
রেজটি খুবই কনফিগারেবল। এছাড়াও,
মাউসটির স্ক্রোল রেজ বেশ স্মুদ
হওয়ার কারণে মনে হয় যে
আমি স্ক্রোল করছি না বরং
ক্লিক করছি। এছাড়াও এটি রেজার সিনাপস
সফটওয়্যারের সাথে সমন্বয়যোগ্য যা
ব্যবহারকারীদের মাউসে বিভিন্ন ফাংশনস সেট করতে সুবিধা
হয়।
আচরণ
সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি এটি দেখে যে, মাউসের কনফিগারেবলিটি নির্ভর করে রেজার ভাইপার মিনি মাউসের সফটওয়্যার এর উপর। সফটওয়্যারটি খুবই সহজেই ইনস্টল করা যায় এবং নিয়মিত অফিশিয়াল আপডেটও পাওয়া যাচ্ছে।
সেন্সর
মাউসটির
একটি অন্যতম ভালো দিক হল এর অপটিক্যাল সেন্সর,
যা নির্ভুলভাবে পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। সেন্সরটির সর্বাধিক রেজোলিউশন 8500 DPI, যা মাউস এর
সামান্য মুভমেন্টও কন্ট্রল করতে পারে। শুধু
গেমিং নয়, যারা নির্ভুল মাউস এর পজিশন আর ক্লিক চান তারাও চোখ বন্ধ করে এটি নিতে পারেন।
গেমিং ছাড়াও অন্যান্য কাজে এই মাউসটি ছাড়া আমি চলতেই পারিনা।
কেন ব্যবহার করবেন?
সংক্ষেপে
বলতে গেলে, রেজার ভাইপার মিনি মাউস একটি
উন্নয়নশীল গেমিং মাউস যা সহজেই
ব্যবহার করা যায় এবং
বিভিন্ন ধরনের গেমে সমর্থন করে।
এর উচ্চ নির্ভুলতা এবং
হালকা ডিজাইন প্রধান দিক হতে পারে এবং গেমারদের
জন্য একটি উত্তম বিকল্প
হিসেবে ধরা যেতে পারে।
খারাপ দিক
এবার আসি মাউসটির
কিছু নেগেটিভ দিক নিয়ে। কিছু বলতে আমি এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে একটিই
অসুবিধা পেয়েছি। আর তা হলো এর স্ক্রোল বাটন। অনেকের কাছে এটি পারমানেন্ট অ্যানোয়িং
সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমি কয়েকমাস পর এই অসুবিধার সম্মুখীন হই। আশ্চর্যজনকভাবে
এটি ১ বছর ব্যবহারের পর নিজে নিজে ঠিক হয়ে যায়। হতে পারে সফটওয়ারগত ত্রুটি অথবা হার্ডওয়ারগত
ম্যালফাংশন। যাই হোক অনেকেই আবার এই সমস্যার সমাধানও করে ফেলেছে। একটু গুগল বা ইউটিউব
ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন।
সারসংক্ষেপ
মূলকথা হলো,
যারা দূর্দান্ত পারফরম্যান্স আর লং লাস্টিং ডুরাবেলিটি চান সাধ্যের মধ্যে তারা দ্রুত
সাধারণ মাউস ফেলে দিয়ে নিয়ে নিন চোখ বন্ধ করে। আর যারা হাই এন্ড থেকে নিচে নামতে চাচ্ছেন
তারা এই ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।